প্রেশার কুকারে বিভিন্ন ধরনের রান্নার টিপস

Smart Cooking
0

ভাত থেকে শুরু করে নিত্যদিনের রান্নায় আমরা বিভিন্ন ধরনের পাত্র ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন ধরনের রান্নার জন্য পাত্রের ধরনও তাই বিভিন্ন হয়ে থাকে যেমন- ভাত রান্নার জন্য পাতিল, তরকারি রান্নার জন্য কড়াই ইত্যাদি। 


কিন্তু প্রেশারকুকার এমন একটি পাত্র যেখানে ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি, মাছ, মাংস, আলু সিদ্ধ, ছোলা সিদ্ধ থেকে শুরু করে প্রায় সব খাবারই রান্না করা যায়। এমনকি কেকও বেক করা যায়। কেক নিয়ে না হয় অন্য আর্টিকেলে কথা বলব। আজ বলব প্রতিদিনের সাধারণ রান্না নিয়ে। 



প্রেশারকুকারে রান্না


প্রেশার কুকারে রান্নার বেশ কিছু সুবিধাও আছে। যেমন- সময় অনেক কম লাগে, গ্যাস কম খরচ হয় (বিশেষ করে যারা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন তাদের জন্য খুবই সুবিধা)। এছাড়াও ঢেকে রান্না করা হয় বলে খাবারের স্বাদটাও ভালো থাকে। তবে অতিরিক্ত সিদ্ধ করে ফেললে কোনো খাবারই মজা হয়না।


যেহুতু আগেই বলেছি সব খাবারই প্রেশার কুকারে রান্না করা যায়। সেজন্য আজকে প্রেশার কুকারে বিভিন্ন জিনিস রান্নার ধরন, পানি এবং সিটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। চেষ্টা করব এই একটি আর্টিকেল পড়েই যেন আপনি বিভিন্ন ধরনের রান্না প্রেশারকুকারে কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পেতে পারেন। তো চলুন একে একে জেনে নেই প্রেশারকুকারে কিভাবে আমরা ভাত এবং বিভিন্ন ধরনের মাংস রান্না করতে পারি।


 ভাত জাতীয়-


 সাদা ভাত- 

সাধারণত ভাত রান্না করতে চালের ডাবল পানি দিতে হয়। চুলার আঁচ এবং প্রেশাকুকারের সাইজ বুঝে ২-৪ টা সিটি লাগে।


 পোলাও- 

সাধারণত ২ পটের কম চাল হলে ডাবল পানি এবং বেশি চাল হলে দেড়গুণ পানি দিতে হয়। আর সিটি ১-২ টাই যথেষ্ট। ভাতের তুলনায় পোলাও চাল সহজের সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে যায়। তাই পানি এবং সিটি ২ টাই কম লাগে।


বিরিয়ানি- 

বিরিয়ানি রান্নায় প্রথমে মাংস টাকে একবার সিটি দিয়ে নিয়ে ভালোমতো কষিয়ে নিতে হবে। এরপর চাল দিয়ে আরেকবার সিটি দিয়ে নিতে হবে। মানে এই রান্নায় ২ বার চুলা জলবে এবং ২ বার আলাদা ভাবে সিটি দিতে হবে।



বিরিয়ানি


 খিচুড়ি:-

 খিচুড়ি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। নরম খিচুড়িতে চাল-ডালের ডাবলের চেয়েও বেশি পানি দিতে হবে আর সিটিও বেশি লাগে। ৩-৪ টা দিলে ভালো হয়৷ অপরদিকে শক্ত খিচুড়িতে চাল-ডালের ডাবল পানি এবং ২ টা সিটি দিলেই যথেষ্ট। 


 মাংস জাতীয়-


 গরু-মহিষ:- 


গরুর মাংসের ক্ষেত্রে সিটি ২ ভাবে দেওয়া যায়। 


প্রথমত মাংসটাকে সব মশলার সাথে মাখিয়ে দিয়ে আগে সিটি দিয়ে পরে কষিয়ে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে মাংসে কোনো পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মাংস থেকেই পানি বের হয়ে মাংস টা সিদ্ধ হিয়ে যাবে। আর সিটি দিতে হবে প্রেশারকুকারের সাইজ এবং টেমপারেচার বুঝে ৪ থেকে ৮ টি।


দ্বিতীয়ত আগে মাংসকে ভালো মতো কষিয়ে নিয়ে তারপর সিটি দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সামান্য পানি ব্যবহার করতে হবে। আর সিটি আগের প্রসেসের চেয়ে ১ টা ২ টা কম দেওয়া যেতে পারে।


 

গরুর মাংস


খাশির মাংস-

 খাশির মাংসও গরুর মাংসের মতো ২ ভাবেই করা যায়। তবে সিটির পরিমান কম লাগে। অর্থাৎ ২-৪ টি হলেই যথেষ্ট। 


 মুরগী হাঁস- 

দেশি মুরগী বা হাসের মাংসের ক্ষেত্রে ১ টা বা ২ টা সিটি দিয়ে নিলে মাংস টা একটু নরম হয় খেতে ভালো হয়।


 তবে পোল্ট্রি মুরগি প্রেশারকুকারে না রান্না করাই ভালো। এটি খুব দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়। তাই প্রেশারকুকারে দিলে ১ টা সিটিতেই মাংস খুলে আসতে পারে। 


 মনে রাখতে হবে প্রেশারকুকারের মেইন কাজই হচ্ছে সিদ্ধ করা। আর প্রতিটা রান্নার ২-৩ টা ভাগ থাকে যেমন কষানো, ভাজা, সিদ্ধ ইত্যাদি। শুধু সিদ্ধ করার অই পোরশন টুকুই আমরা প্রেশারকুকারে করতে পারি। এতে আমাদের সময় গ্যাস এবং পরিশ্রম সবই সেইভ হবে।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)