সাদা পোলাও আমরা সবাই কম বেশি রান্না করতে পারি। পাতিলে, সসপ্যানে, রাইস কুকারে বা প্রেশার কুকারে সব খানেই সাদা পোলাও রান্না করা যায়। তবে যেখানেই পোলাও রান্না করেন না কেন কিছু টিপস মেনে চললে পোলাও হবে সাদা ঝরঝরে।
যারা রেগুলার রাইস কুকারে পোলাও রান্না করেন তাদের অনেকেরই কমপ্লেইন থাকে যে- পোলাও ঝরঝরে হয়না বা সুন্দর ফ্লেভারফুল হয়না। অথবা পারফেক্ট নিয়ম না জানার জান্য অনেকেই রাইস কুকারে পোলাও রান্না করতে চান না।
তাই আজকে আমি চলে এসেছি রাইস কুকারে পারফেক্ট সাদা ঝরঝরে পোলাও রান্নার সঠিক নিয়ম এবং টিপস নিয়ে। এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি খুব সহজেই রাইস কুকারে ঝরঝরে সাদা পোলাও রান্না করতে পারবেন এবং আপনার পোলাও যথেস্ট টেস্টি এবং ফ্লেভারফুল হবে।
রাইস কুকারে ঝরঝরে সাদা পোলাও টিপস
১। দমে রাখা
যে কোনো পোলাও এর আসল মজা দমে রাখলে। রান্না শেষে কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট দমে রাখলে সেই পোলাও বা বিরিয়ানি ভিতর থেকে সফট হয়। পাশাপাশি যে ফ্লেভার গুলো ব্যবহার করা হয়
২। চাল ভাজা আর না ভাজার সাথে টেস্ট এর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। চাল ভাজলে পোলাও বেশিক্ষন সংরক্ষণ করা যায়। আর না ভাজলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ২ বেলার বেশি সংরক্ষণ করতে চাইলে ভেজে রান্না করাই ভালো।
৪। শুরুতে পিয়াজ ভেজে রান্না করলে পরে আর বেরেস্তা না দিলেও চলে৷ কিন্তু শুরুতে পিয়াজ না ভেজে রান্না করলে বেরেস্তা দিলে সুন্দর ফ্লেভার বের হয়।
৫। বেরেস্তা চাইলে দুইবারে দেওয়া যেতে পারে। অর্ধেক রান্না হলে একবার অল্প করে এবং শেষে একবার।
৬। তেলের পরিমান টা পুরোটাই যার যার নিজের পছন্দ মতো, কিন্তু যারা একেবারে নতুন; মেপে দিতে চান তারা ১ কেজিতে ২০০-২৫০ মিলি এই হিসেবে দিতে পারেন।
৭। স্টার মশলা, জয়ত্রি, শাহী জিরা, ঘি, আলু বোখরা ইত্যাদি এগুলো পোলাও বিরিয়ানির ফ্লেভার বাড়ায়। আশে পাশের মানুষ টিকতে পারেনা। এর মধ্যে থেকে পছন্দ মতো মশলা দিতে পারেন।
৮। রাইসকুকারে চাল বলক আসার একটু পরে পানি নেমে গেলে সুইস অফ করার আগে বেরেস্তা দিয়ে অফ করে দিতে হবে। তাহলে নিচে লেগে যাবেনা। আর ঢাকনার ফুটো আটকে দিয়ে দমে রাখতে হবে। পরে আর খোলা যাবেনা ১৫-২০ মিনিট।
৯। পানি দেওয়ার পর আস্ত কাচা মরিচ দিলে সুন্দর ফ্লেভার আসবে কিন্তু ঝাল হবেনা ভয় নাই।
প্রত্যেক গৃহীনির নিজস্ব কিছু টেকনিক থাকে। আর সেই টেকনিক এর সাথে যদি আরো কিছু টিপস যুক্ত হয় তাহলেই কিন্তু রান্নায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। আর তাই আমাদের প্রচেস্টা থাকে সব সময় সমসাময়িক এবং বাস্তব মুখি বিভিন্ন টিপস এবং ট্রিকস শেয়ার করা যাতে আপনাদের রান্না ঘরের অভিজ্ঞতা আরো মসৃণ এবং সুন্দর হয়।