সকালের নাস্তায় সবচেয়ে পপুলার খাবার হলো রুটি বা পরোটা। তবে এই রুটি বানানো কিন্তু খুব সহজ না। বাসাবাড়িতে একজন নারী খুব যত্ন নিয়ে এই কাজটি করে থাকেন।
কিন্তু অনেক সময়ই পারফেক্ট রুটির ডো হতে চায় না। হয় রুটি শক্ত হয়ে যায় অথবা ডো নরম হয়ে যায়। অনেক সময় পানির পরিমান টাও বোঝা যায় না।
তাই আজকে আমি মনি স্মার্ট কুকিং থেকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে রুটি ডো সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে। তো চলুন দেখে নেই কিভাবে আমরা বিভিন্ন ধরনের ডো পারফেক্ট ভাবে তৈরি করতে পারি।
শুরুতেই বলে নেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব আটা বা ময়দার ৩ ধরনের রুটির খামির তৈরি এবং সাথে জানব পরোটার ২ ধরনের ডো তৈরি আর শেষে থাকবে চালের আটার রুটি তৈরির পারফেক্ট ডো।
আটা বা ময়দার ৩ ধরনের রুটির খামির-
১। শক্ত বা টাইট রুটি:-
এই ধরনের রুটির খামির তৈরি করার জন্য ঠান্ডা পানি বা কুসুম গরম পানি দিয়ে ডো বা খামির তৈরি করতে হবে। ডো তে অবশ্যই সামান্য তেল ব্যবহার করতে হবে। এবং ডো বানানোর পর ১০ মিনিট রেস্টে রাখতে হবে। আর রুটি সেকে বাহিরে খোলা রাখলে অনেক শক্ত হয়ে যায়। তাই একটু ঠান্ডা করে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে।
যারা সাধারণত শক্ত বা একটু টাইট রুটি খেতে পছন্দ করেন তারা এইভাবে রুটি তৈরি করতে পারেন। তবে এইক্ষেত্রে বাসি রুটি একদমই শক্ত হয়ে যায়। ফলে পরবর্তীতে খাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়।
২। উপরের চামড়া শক্ত কিন্তু ভিতরে নরম:-
এক্ষেত্রে একটি পাত্রে আটা বা ময়দা নিয়ে গরম পানি দিয়ে ডো বানাতে হবে। ডো তে সামান্য তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। না করলেও সমস্যা নাই। এই ক্ষেত্রেও খামিরটা ৫-১০ মিনিট রেস্টে রাখা ভালো। তবে অবশ্যই ফুটন্ত গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
যারা বাহিরের ক্রিস্পি এবং ভেতরে সফট রুটি পছন্দ করেন তারা এইভাবে বানাতে পারেন।
৩। একদম নরম তুলতুলে রুটি:-
একটি পাত্রে পরিমান মতো পানি নিয়ে চুলায় ফুটতে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আটা দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে। মাখা মাখা হয়ে গেলে ঢেকে দিয়ে চুলা অফ করে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর ভালো মতো ময়ান দিয়ে রুটি বানাতে হবে। এইক্ষেত্রে আর রেস্টে রাখার দরকার নাই। আর এই খামরে তেলেরও প্রয়োজন হয় না।
১ কাপ আটা দিয়ে ৪ টি মিডিয়াম চাইজের রুটি করা যায়। এবং ১ কাপ আটাতে পানি লাগে ১/২ কাপ। ( মেজারমেন্ট কাপ নিয়ে কাল ভিডিও থাকবে)
পরোটা:-
শক্ত এবং ক্রিস্পি পরোটা খেতে চাইলে আটা একদম ঠান্ডা পানি দিয়ে ডো বানাতে হবে। আর ১ কাপ আটায় ২ টেবিল চামচ তেল দিলে ভালো হয়। পরোটার ভাজে তেল এবং আটার মিশন দেওয়া যেতে পারে। এতে পরোটা যেমন ফুলবে তেমনি ক্রিস্পি হবে। আরো মজাদার করার জন্য চিনি বা গুড়ো দুধ দিতে পারেন।
নরম পরোটা করার জন্য আটা গরম পানি দিয়ে ডো করে নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে পরোটা ভাজার সময় চেপে চেপে দিলে কালার সুন্দর আসবে। হোটেলে সাধারণত এইবভাবে পরোটা বানায়।
চালের আটার রুটি:
চালের আটার রুটি তৈরিতে ২ টি জিনিস ঠিক থাকলেই পারফেক্ট রুটি হবে। ১ম হলো ডো এবং ২য় হলো ময়ান। ডো তে পানি এবং আটার অনুপাত সঠিক হলে সুন্দর এবং সফট একটা ডো হবে। এরপর পালা ময়ানের। যত বেশি আটার খামির মথে নেওয়া যাবে তত বেশি মসৃন হবে এবং রুটি ফেটে যাবেনা।
টিপস-
ডো তৈরির সময় একসাথে বেশি করে পানি দেওয়া যাবেনা। একটু একটু করে পানি দিয়ে ডো তৈরি করলে ডো টা পারফেক্ট হবে। পানি কম বা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
ডো তৈরির পর অবশ্যই কিছুক্ষন রেস্টে রাখতে হবে। তাহলে ডো টা সফট থাকবে এবং রুটি বানাতে সহজ হবে।