প্রতিবছর রমজান আসে মুসলিমদের জীবনে খুশির বার্তা নিয়ে। এই মাসকে ঘিরে মুমিন মুসলমানদের অনেক ধরনের পরিকল্পনা থাকে। ইবাদতের জন্য বিশেষ এই মাস। এই মাসে নারীদেরও থাকে অনেক ধরনের পরিকল্পনা।
যেহুতু ৩ বেলা খাবারের জঞ্জাল থাকেনা তাই ২ বেলা শুধু খাবার খাওয়া হয়। আর তা হলো ইফতার এবং সেহরি। ইফতার হলো মুসলমানদের জন্য আনন্দের একটি সময়। এই। তাই রান্নাঘরের বেশ কিছু কার্যকরী টিপস দিয়ে সাজানো আজকের এই লেখাটি। আমি মনি আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করব খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস।
১। ছোলা এবং ডাল ভিজাতে ভুলে গেলে গরম পানি করে ছোলা বা ডালে দিয়ে দিন। ১৫ মিনিটেই অনেকটা ফুলে যাবে।
২। সদস্য কম হলে ছোলা একবারে ৫-৭ দিনের জন্য রান্না করে ছোট ছোট বক্সে ডীপ করে রাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
৩। ডাল একেবারে ব্লেন্ড করে বা পিষে জীপলক ব্যাগে করে প্রতিদিনের পরিমান অনুযায়ী রেখে দিন। প্রতিদিন ভেজানো, ব্লেন্ড করা এবং ব্লেন্ডার ধোয়ার ঝামেলা থেকে বেচে যাবেন। শুধু এক প্যাকেট বের করবেন আর ভেজে নিবেন।
৪। সঠিক পরিমানে ফাইবার শরীরে যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। ইফতার এবং সেহরি মিলিয়ে খাদ্য পিরামিড ঠিক রাখুন। মানে সুষম খাবার খান। (এইটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দিব)
৫। সহজ কিন্তু হেলদি কিছু রেসিপি শিখে নিবেন। এরপর উপকরণ গুলো রেডি রেখে রোজায় বার বার রিপিট করবেন।
৬। আমার মা কে দেখতাম দুপুর ৩ টা থেকে ৪ টা এর মধ্যে রান্না শুরু করে দিতেন। প্রথমে সেহরির রান্না করে তারপর ইফতার রেডি করতেন। আমিও তাই করি। এতে একেবারে ঝামেলা শেষ হয়ে যায়।
৭। বেসন এবং ডালের প্রিমিক্স করে নিতে পারেন। সময় বাচবে আর কষ্টও কম হবে। (এইটা আমি দেখিয়ে দিব)
৮। যাদের ওজন বেশি তারা এই রমজানে টার্গেট নিন ৫-৬ কেজি ওজন কমানোর। সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতারে একেবারে করে অনেক গুলো খাবার খেয়ে নিবেন না। এইটা নিয়েও ডিটেইলস লেখা আসবে যদি আপনারা চান।
সর্বোপরি সুন্দর একটি রমজান মাস পার করার আল্লাহ তৌফিক দিন।