খাবার কে সুগন্ধি করার জন্য প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন মশলা বা ভেষজ উপকরণ ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় গরম মশলা। আজকে আমরা জানব, বিভিন্ন খাবারকে সুগন্ধি বা ফ্লেভারফুল করার জন্য কি ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাবারকের সুগন্ধিকরার প্রক্রিয়া-
১। বিরিয়ানি তে স্টার আনিস ব্যবহার করলে একটা আলাদা ফ্লেভার আসবে।
২। সবজি তে শুকনা মরিচ ও রসুন আলাদা তেলে বাগার দেওয়া।
৩। মুগডাল নামানোর সময় ঘি তে চিনি পুড়িয়ে লাল করে দেয়া।
৪। ডিমের কিছু তৈরি করলে লেবুর রস দিতে পারেন।
গরুর মাংসে হাল্কা রাঁধুনির ব্যবহার।
৫। মাংসে আস্ত কাচা মরিচ দিলে আলাদা একটা ফ্লেভার আসে।
৬। সবুজ শাক সবজি হাই হিটে রান্না করলে রং সুন্দর থাকে। সামান্য চিনি শেষে দিতে পারেন।
৭। সুজির হালুয়া করার সময় কাজু ঘি তে ভেজে দেয়া যেতে পারে। সাথে এলাচ গুড়া সাথে। চিনির বদলে গুড় ভালো লাগে।
৮। তরকারি রান্নার শুরুতে পেঁয়াজ তেলে দিয়ে তারপর হলুদ দেয়া, তারপর লবন; রং টা অনেক ভালো আসবে।
৯। ডাল সিদ্ধের সময় হলুদের গুড়া, রসুন পেয়াজ একটু তেল দিবেন।
১০। বেশি ভাত রান্না করতে হলে একটু তেল দেয়া।
১১। পাউরুটি একটু ঘি তে হাল্কা চিনি লবন দিয়ে ভেজে পাউডার দুধ দিয়ে পরিবেশন করবেন মাঝে মাঝে।
১২। পুদিনা পাতা এবং মরিচ ভর্তা মাখাবেন অনেক মজা।
১৩। চানার ডাল রান্না করলে নারকেল কোরা দিবেন। মৌরি ফোরন দিবেন ঘি তে। সিদ্ধ হয়ে আসলে শুকনা মরিচ, হিং, পেয়াজ, রসুন দিবেন। একটু ঘি দিতে পারেন। ডালে লেবু পাতা দিলে অনেক মজা হয়।
১৪। পোলাও পাতা দিয়ে আলু ভাজি অনেক মজা।
১৫। মুরগী তে লেমন গ্রাস, এলাচের গুড়া, বেরেসতা , ঘি, জৈত্রী দেওয়া।
১৬। ক্যপসিকাম ব্যবহার করা চিংড়িতে বা নুডুলস এ।
১৬। এলাচ গুঁড়া চা তে।
সমাপনী-
খাবার খাওয়ার আগেই নাকে আমাদের ঘ্রাণ টা পৌছে যায়। তাই খাবার সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি সুগন্ধি হওয়াও জরুরি। নুতবা খবার খাওয়ার আগ্রহই হারিয়র যায়। আর মেহমান আসলে তো কথাই নেই। বিশেষ বিশেষ খাবারে সুগন্ধি ব্যবহার না করলে যেন আমাদের ভালোই লাগেনা। তাই খাবারকে সুগন্ধি করার এই টেকনিক গুলো ফলো করলে অবশ্যই আমাদের খাবার ফ্লেভারফুল হবে।