মিষ্টি কুমড়ার এই ৫ টি উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন।
আজকে আমরা জানব মিষ্টি কুমড়ার ৫ টি চমকে যাবার মতো উপকারিতা।
১। স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুলের জন্য
আচ্ছা কেমন হবে! যদি কোটি টাকার প্লাস্টিক সার্জারির কাজ একটি সবজি করে। হ্যা ভুল শোনেননি। NCBI দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে, কুমড়ায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যার রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এবং এটা তো আমরা সবাই কম বেশি জানি যে এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারী।
এটি আমাদের ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না। মানে আমদের তরুন রাখে। আবার সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা গেছে যে কুমড়ার বীজে উপস্থিত লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যা বলি, শুষ্কতা এবং কোষের ক্ষতি এইসব থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
শুধু ত্বক না এতে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল কিন্তু চুলের জন্যও ভালো করে। একটি গবেষণা পত্রে লেখা হয়েছে যে কুমড়া সেবন চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তার মানে এই এক কুমড়া খেয়ে আমাদের স্কিন এবং চুলকে সুন্দর রাখতে পারি।
২। পুষ্টির গোডাউন
একটি সবজিতে সাধারণত ৩-৪ ধরনের ভিটামিন বা পুষ্টি উপাদান থাকে। সেখানে মিষ্টিলাউএ আছে- ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, বিটা-ক্যারোটিন, ফাইবার, রিবোফ্লাভিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ, কতগুলো আমি পুষ্টি উপাদানের কথা বললাম। শুধু চিন্তা করেন একবার তাহলে কেন এটাকে ভিটামিন বা পুষ্টির গোডাউন বলবনা?
৩। ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ায়
সহজ বাংলায় বললে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই যে আমরা ২ নাম্বার পয়েন্টে জানলাম মিষ্টি লাউ এ অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে মূলত এগুলোই বিভিন্ন রোগ যেমন- ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সুতরাং আমাদের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি লাউ কিন্তু নিয়মিত ভাবে জায়গা করে নিতে পারে।
৪। ওজন কমাতে
অতিরিক্ত ওজন কখনোই স্বাস্থের জন্য ভালোনা। এই অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিছু ধরণের ক্যান্সার সহ অনেক সমস্যা হতে পারে।
এখানে একটা মজার কথা বলি, একবার ইঁদুরের ওপর একটি এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল। এবং আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে দেখা যায় কুমড়ার কাণ্ড স্থূলতা ও ওজন কমাতে পারে। পরবর্তীতে NCBI-এর ওয়েবসাইটে সেই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
আসলে, এটির স্থূলতা-বিরোধী প্রভাব রয়েছে, যা স্থূলতা এবং অতিরিক্ত চর্বি কমাতে পারে।আসল টুইস্ট টা এখানেই । আপনি খাবেন কিন্তু ওজন বাড়ার বদলে কমবে।
৫। বাচ্চাদের জন্য টনিক
১। চোখের স্বাস্থ্যঃ
কুমড়োতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে আর এই ক্যারোটিনয়েডগুলো চোখের ম্যাকুলার অবক্ষয় হ্রাস করতে সহায়তা করে। ফলে এটি চোখের জন্য খুবই ভালো।
২। হজমশক্তি উন্নত করে
অনেক বাচ্চারই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়। মিষ্টি কুমড়োতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার আছে। যেটা হজমে সহয়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩। ভাল ঘুম দেয়
কুমড়োতে উপস্থিত ট্রিপটোফান নামক একটি উপাদান আমাদের দেহে সেরোটোনিন তৈরি করতে সহায়তা করে। সেরোটোনিন একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড যা শরীরে প্রশান্তি জাগিয়ে তোলে এবং রাতে আরও ভাল ঘুমের জন্য সাহায্য করে।
৪। কৃমি এবং অন্যান্য পরজীবী থেকে রক্ষা
অনেক বাচ্চারই ক্রিমি এবং অন্যান্য পরজীবীর সমস্যা দেখা যায়। কুমড়োর অ্যান্থেল্মিন্টিক বৈশিষ্ট্য (কীটগুলি ধ্বংস করার শক্তি) আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখবে এবং এই কীট ও পরজীবীদের থেকে উপশম দেবে।