রান্নাঘরের টিপস

Smart Cooking
0


  আমাদের কর্মব্যস্ততার মাঝে সারাদিন খুব অল্প সময় থাকে রান্না করার জন্য। এই অল্প সময়ের মধ্যে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর রান্না করাটাই হলো স্মার্ট কুকিং। বর্তমানে অধিকাংশ নারী বিভিন্ন কাজে নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে। তাই আগের দিনের নারীদের মতো এত সময় তারা রান্না ঘরে ব্যয় করতে পারেনা। ফলে সব কাজ এক হাতে করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতে রান্নাঘরের সহজ এবং লাভজনক কিছু টিপস ফলো করলে খুব সহজেই রান্নাকে ম্যানেজ করা সম্ভব হয়। তো চলুন দেখে নেই রান্নাঘরের এমন ৬ টি টিপস যা আপনার কাজকে সহজ করে দিবে।


১। রান্নার আগে রান্নাঘর পরিস্কার করে নেওয়াঃ 

চেষ্টা করবেন রান্নার আগে সমস্ত কাটাকাটি এবং এবং ধোয়ার কাজ কমপ্লিট করে রাখতে। এছাড়াও চুলে মুছে এবং তাক গুলো মুছে নিলে রান্না করতেও বেশ ফ্রেশ ফ্রেশ লাগবে। আর পরিস্কার রান্না ঘরে রান্না করার মজাই আলাদা। তখন রান্নায় যেমন মন বসে তেমনি রান্না টা করেও তৃপ্তি পাওয়া যায়।



রান্নাঘরের টিপস



২। আগের দিন রাতেই ভেবে রাখুন পরেরদিন কি কি রান্না হবেঃ

প্রতিদিন সকালে উঠে গৃহিনীদের কমন একটা চিন্তা হলো আগামীকাল কি রান্না হবে? আগামীকাল কি রান্না হবে এইটা যদি আগের রাতেই ভেবে রাখা যায় তাহলে দেখবেন পরেরদিন কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। কারন অনেকসময় শুধু চিন্তা করতে করতেই অর্ধেক বেলা চলে যায়। এতে রান্নার যোগার করতেও দেরি হইয়ে যায়। তাই আগের রাতেই চিন্তা করে 



৩। কি কি রান্না হবে তার সব আইটেম আগে থেকেই রেডি করে রাখাঃ


যেহুতু কি রান্না হবে আগে থেকেই ঠিক করা তাই সকালে উঠেই যদি রান্নার উপকরণ গুলো রেডি করে নেওয়া হয় বা ফ্রিজ থেকে বের করে নেওয়া হয় তাহলে সকালের নাস্তা খেতে খেতে মাছ মাংস নরম হয়ে যাবে এবং রান্নার প্রস্তুতি শুরু করা যাবে। কিন্তু মাছ মাংস ভেজাতে দেরি হলে দেখা যাবে নরম হতে হতে রান্নায় অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। এতে করে রান্না দেরি হয়ে যাবে।


তাই সকালের নাস্তা খেয়েই দুপুরের রান্নার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া যেতে পারে। 



৪। মশলা ডীপ ফ্রিজ থেকে বের করে নেওয়াঃ


প্রয়োজনীয় মশলাপাতি ডীপ ফ্রিজে থাকলে তা আগেই বের করে নেওয়া উচিৎ তাহলে নরম হয়ে যাবে এবং রান্নায় সহজেই ব্যবহার করা যাবে। অনেক সময় দেখা যায় ডীপে মশলা আছে কিন্তু বের করতে মনে নেই। সেক্ষেত্রে রান্না তুলে দেওয়ার পর মনে পড়লে ডীপ থেকে বের করে সাথে সাথে ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তাই মনে করে অবশ্যই আগে বের করে নিবেন। (এখানে আরো সুন্দর সুন্দর টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব মশলা নিয়ে যদি আপনারা চান) 


৫। একসাথে ২-৩ টা কাজ না করাঃ 


 একসাথে ২-৩ টা কাজ না করে একে একে প্রত্যেকটা কাজ পারফেক্টলি করাই শ্রেয়। এতে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং কাজ গোছানো হয়। একটা কাজে ভুল হলে দেখা যায় প্রতিটা কাজেই তার প্রভাব পড়ে। তাই একটি কাজ পারফেক্ট হলে বাকি গুলোও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে। এজন্য প্রতিটি কাজেই সমান মনোযোগ দিয়ে ভালো ভাবে করা উচিৎ। 


যেমন- একসাথে ২ টা রান্না করতে করতে যেয়ে অনেক সময় রান্না পুড়ে যায় বা মশলার হেরফের হয়ে যায়। অথচ একটা একটা করে রান্না করে নিলে দেখবেন ফুল মনোযোগ দিয়ে করতে পারছেন এবং রান্নায় ভুল হচ্ছেনা। তবে যারা রান্নায় এক্সপার্ট তারা সময়ের অভাবে একসাথে অনেক কাজ করতে পারেন। 


৬। একেবারে দুইবেলার রান্না করাঃ 


দুপুরের রান্নার সময় একবারেই যদি রাতের রান্নাটাও করা যায় তাহলে দেখা যাবে রাতে আর রান্নাঘরে যেতে হবেনা। সেক্ষেত্রে চাইলে একই আইটেম দিয়ে দুপুরে এবং রাতের খাবার করতে পারেন, আবার চাইলে আলাদা আইটেমও করতে পারেন। একবারে রান্না করে নিলে বেশ কিছু সুবিধা পাবেন। যেমন- একটা রান্নার যোগার করার সাথে সাথে ২ টা রান্নার যোগাড় করে নেওয়া সহজ৷ কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে রান্নার যোগাড় করতে গেলে ২ বেলাতেই সময় নষ্ট হবে। 


আর খাবারে যদি হাত না দেন তাহলে অই খাবার ফ্রিজেও রাখতে হবেনা। দুপুরে রান্না করা খাবার রাতেও একদম ভালো থাকবে।

  • Older

    রান্নাঘরের টিপস

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)